আলোচনার সূচনায় কয়েকটি সূরার ক্রমিক নম্বর এবং আয়াত সংখ্যা উল্লেখপূর্বক বাংলা অনুবাদ প্রদত্ত হলো-
৫৯ : ২৩) হুয়াল্লা
হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আল মালিকুল্ কুদ্দুসুস্ সালামুল মুমিনুল
মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির সুবহানাল্লাহি আম্মা ইউশরিকুন।
(৫৯ : ২৩) অর্থ- তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত আর কোন উপাস্য নেই, যিনি
বাদশাহ, পবিত্র, নির্দোষ, ক্ষমাকারী, রক্ষক, পরাক্রমশালী. সংশোধক, মহান;
অবিশ্বাসীগণ কর্তৃক বর্নীত অংশীদারদের থেকে আল্লাহ পবিত্র, মহান। (59 : 23)
He is Allah, besides Whom none is to be worshipped the Sovereign, the
most Holy, the Source of peace, the Giver of Security, the Protector,
the Esteemed one, the Exalted the Majestic. Glory is to Allah from what
they associate.
(৫৯ : ২৪) হুওয়াল্লা-হুল
খা-লিক্বুল বা-রিউল মুছাব্বিরু লাহুল আছমা – উল হুছনা; ইয়ুছাব্বিহু লাহূ
মা- ফিছছামা- ওয়া- তি ওয়াল আরদ্ব, ওয়া হুওয়াল আযীযুল হাকীম। (৫৯ : ২৪)
অর্থ- তিনিই আল্লাহ্, যিনি সৃষ্টির পরিকল্পনাকারী, এর বাস্তবায়নকারী -সেই
অনুযায়ী রূপদানকারী, সকল উত্তম নাম তাঁরই। আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু
আছে সবই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে। তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
(59 : 24) He is Allah, the Makers the Creator, the Evolver, the
Bestower of form to everyone. His are all good names; all that is in the
spaces and the earth glorifies Him: and He is the Esteemed One the
Wise.
(০২ : ১১৬) অর্থ- এবং
তারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন। তিনি অতি পবিত্র, বরং আকাশমন্ডলী ও
পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব আল্লাহরই, সব কিছু তাঁরই একান্ত অনুগত। (02 : 116)
And they say ‘Allah has taken unto Himself a son’, sanctity is for Him.
Nay, whatever is in the spaces and is in the earth is His possession.
All are unto Him subservient.
(০২ : ১১৭) অর্থ- যিনি
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে অনস্তিত্ব হতে অস্তিত্বে আনায়ন করেন এবং যখন তিনি
কিছু করবার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন শুধু বলেন হও, আর তা হয়ে যায়। (2 :
117) He is the Originator of existence of the spaces and the earth from
emptiness, and when He decrees any thing, then says to it only, “Be, and
it becomes at once.
(১০ : ৩) অর্থ:- তোমাদের
প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্টি করেন, অতঃপর
তিনি আরশে সমাসীন হন। তিনি সকল বিষয় নিয়ন্ত্রণ করেন। (10 : 3) No doubt,
your Lord is Allah Who made the spaces and earth in six days, then
seated Himself on the Throne befitting to His Dignity, He plans the
work. No intercessor is there but after His leave. This is Allah your
Lord, and then worships Him. Do you then not ponder?
(২১ : ৩০) অর্থ:- যারা
কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী মিশে ছিল
ওতপ্রোতভাবে; অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম এবং প্রাণবান সমস্ত কিছু
সৃষ্টি করলাম পানি হতে, তবুও কি তারা বিশ্বাস করবে না? (21 : 30) Did the
infidels not consider that the spaces and earth were closed up through
and though, then We opened them out? And We made every made living thing
from water. Will they then believe?
(২৪ : ৩৫) অর্থ-আল্লাহ্
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর জ্যোতি…জ্যোতির উপর জ্যোতি (24 : 35) Allah is the
Light of the spaces and the earth. The similitude of His Light is as a
niche wherein is a lamp. The lamp is in a chandelier (of glass). The
chandelier is as it were a star glittering like a pearl; it is lighted
from the blessed olive tree which is neither of east nor of west, it is
near that its oil may flare up even though the fire touches it not. The
Light is upon the Light. Allah guides to His Light whomsoever He will
and Allah narrates examples for the people. And Allah knows all things
(২৯ : ১৯) অর্থ- ওরা কি লক্ষ করেনা, কিভাবে আল্লাহ সৃষ্টিকে অস্তিত্ব দান করেন, অতঃপর তা পূনরায় সৃষ্টি করেন? নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর জন্য সহজ।
(29 : 19) And have they not seen, how Allah originates creation, then He will reproduce it? Undoubtedly, it is easy for Allah.
(২৯ : ২০) অর্থ:- বল,
পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং অনুধাবন কর কিভাবে তিনি সৃষ্টিকে আরম্ভ করেছেন?
অতঃপর আল্লাহ্ পুনর্বার সৃষ্টি করবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে
সর্বশক্তিমান। (29 : 20) Say you, ‘travel in the earth, then see, how
Allah makes first, then Allah up brings the second growth. Undoubtedly
Allah can do everything.
(৫০ : ৩৮) অর্থ- আমরা
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং তাদের অন্তর্বর্তী সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছি ছয়
দিনে, আমাদেরকে “কোন ক্লান্তি স্পর্শ করে নাই।” (50 : 38) Surely, We made
the spaces and the earth and what ever is in between in six days and
weariness came not to Us.
আলোচনা
এই আয়াতগুলো থেকে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে
পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময় (২৯:২০) সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান এক আল্লাহতায়ালা
তাঁর ইচ্ছায় এক মহাশক্তির (২৪:৩৫)-(জ্যোতির উপর জ্যোতি শক্তির) প্রভাবে কোন এক অজ্ঞাত সময়ে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে (২:১১৭) অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্বে
আনার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সুতরাং প্রতীয়মান হয় যে, সৃষ্টিকে অস্তিত্ব
দানের পূর্বে (২:১১৬) আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী আল্লাহর অসীম শক্তির মাঝে বিলীন
ছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় (১০:৩) নিয়ন্ত্রিতভাবে এই শক্তির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
সৃষ্টির শুরুতে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী (২১:৩০)ওতপ্রোতভাবে একত্রিত অবস্থায় ও একই রূপে বিরাজ করছিল।
একদা মহান স্রষ্টা যখন সৃষ্টিকে প্রকাশের ইচ্ছা করেন তথন থেকেই
সৃষ্টিকালীন-দিনের সূচনা ঘটে। পরবর্তীতে (৫০:৩৮) পর্যায়ক্রমে ছয়দিনে [এখানে
ছয়দিন বলতে সুনির্দিষ্ট ও সুনিয়ন্ত্রিত অতি ক্ষুদ্র অথবা অতি বৃহৎ অথবা
অতি ক্ষুদ্র ও অতি বৃহৎ ছয়টি পর্যায়ক্রমিক সৃষ্টিকালীন সময়কালের সমাহার
বুঝতে হবে।] বিভিন্ন পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আকাশমন্ডলী, পৃথিবী
এবং এদের মধ্যে অবস্থিত দৃশ্য ও অদৃশ্য সমস্ত কিছু সৃষ্টির বিষয়ে পূর্ণতা
দান করেন। এরপর থেকে (২৯:১৯) আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় ও নিয়ন্ত্রণে
সৃষ্টিকালীন ছয়দিনে সৃষ্ট অদৃশ্য বিষয়সমূহ দৃশ্য অবস্থায় এবং দৃশ্য বিষয়
সমূহ অদৃশ্য অবস্থায় রূপান্তরিত হচ্ছে অথবা নব নব অবস্থায় পরিগঠিত হচ্ছে
মাত্র।
সৃষ্টিকালীন ছয়-দিন এর বিষয়ে পবিত্র
কোরআনের বিভিন্ন আয়াতসমূহে প্রদত্ত ইংগিতের সাথে মিল রেখে বর্তমান কালের
অত্যাধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্যসমৃদ্ধ আলোচনাঃ
সৃষ্টিকালীন ১ম-দিন (১ম-ইওম বা নির্দিষ্ট সময়):
(১১ : ৭) অর্থ- আল্লাহ্
ছয় দিবসে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডল সৃষ্টি করেছেন, তখন তাঁর আরশ (নিয়ন্ত্রণ
ব্যবস্থা ) পানির ( তরলিত অবস্থার ) উপর ( নিবদ্ধ ) ছিল। (11 : 7) And it
is He who has created the spaces and earth in six days, then His
Throne(control system) was (fixed) on the water (liquefied state)
(৫১ :৪৭) অর্থ- এবং আমরা
আকাশ নির্মাণ করেছি ক্ষমতাবলে এবং আমরা অবশ্যই মহাসমপ্রসারণকারী। (51 :
47) And We have made the space with own power, and undoubtedly We are
Makers of the vast expansion.
সৃষ্টি সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক মতবাদঃ
সৃষ্টির শুরুতে মহাবিশ্ব যখন উত্তর মেরুর
মতো একক বিন্দু ছিল তখন এর কোন অন্তর্বস্তু ছিল না। আক্ষরিক অর্থে সৃষ্টির
শুরু হয়েছিল শুন্যতা থেকে। কিন্তু এখন মহাবিশ্বের যে অংশ আমরা পর্যবেক্ষণ
করি তাতে রয়েছে অন্তত ১০ কে ১০ দিয়ে ৮০ বার গুণ করলে যত হয় তত সংখ্যক
কনিকা। এই সমস্ত কনিকা এল কোথা থেকে? উত্তরটা হল: অপেক্ষবাদ এবং কণাবাদী
বলবিদ্যা শক্তি থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে। Until recently, the first
hundredth of a second after the Big Bang was a mystery, leaving Weinberg
and others unable to describe exactly what the universe would have been
like during this period. New experiments at the Relativistic Heavy Ion
Collider in Brookhaven National Laboratory have provided physicists with
a glimpse through this curtain of high energy, so they can directly
observe the sorts of behavior that might have been taking place in this
time frame. At these energies, the Quark that comprise Proton and
Neutron (ups and downs) were not yet joined together, and a dense,
superhot mix of quarks and Gluon with some electrons thrown in, was all
that could exist in the microseconds before it cooled enough to form
into the sort of matter particles we observe today. During the earliest
era of the big bang theory, the universe is believed to have
formed a hot, dense Plasma.
পৃথিবী যদি অপবর্জন নীতি (Poulis
exclusion principle)ছাড়া সৃষ্টি হত তা হলে কার্কগুলি বিচ্ছিন্ন ও
সুসংজ্ঞিত পরমাণু গঠন করতে পারত না। তারা সবাই চুপসে মোটামুটি একরকম ঘন
একটি সুপ তৈরী করত। বলবাহী মৌল কণিকাগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হল, তারা
অপবর্জন নীতি (Exclusion principle) মানে না। [সূত্রঃ কৃষ্ণগহ্বর এবং শিশু
মহাবিশ্ব ও অন্যান্য রচনা- অধ্যায়-৯ – মহাবিশ্বের উৎপত্তি)। কালের
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস- অধ্যায়-৫-মৌলকণা ও প্রাকৃতিক বল]
আলোচনা
বিজ্ঞানের মতে সৃষ্টির শুরুতে এই মহাবিশ্ব ক্ষুদ্র একক বিন্দুর মত ছিল এবং কোন অন্তর্বস্তু ছিল না, অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু হয়েছিল শুন্যতা বা অনস্তিত্ব
থেকে। (২:১১৬), (২:১১৭) ও (২০:৩০) ইত্যাদি আয়াতগুলো পর্যালোচনা করলে এই
ইংগিত পাওয়া যায় যে, আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এর মাঝে যা কিছু আছে সবই
সর্বশক্তিমান আল্লহতায়ালার অসীম শক্তির মাঝে বিলীন ছিল এবং তাঁরই একান্ত
অনুগত ছিল। (৫১:৪৭) নং আয়াতে দেয়া তথ্য অনুসারে যেহেতু সকল শক্তির আধার
আল্লাহ মহান স্রষ্টা, সুতরাং শক্তি থেকেই যে সৃষ্টির শুরু হয়েছিল তা বলার
অপেক্ষা রাখে না। আর বিজ্ঞানও অর্থাৎ অপেক্ষবাদ এবং কণাবাদী বলবিদ্যা শক্তি
থেকে বস্তু সৃষ্টি অনুমোদন করে। মহান আল্লহতায়ালা যখন সৃষ্টিকে অস্তিত্বে
আনার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তখন থেকেই অর্থাৎ সেই অসীম শুন্যতা বা অনস্তিত্ব (২:১১৭) বা বস্তুহীন পরিবেশে কোন এক অজ্ঞাত ক্ষণে সৃষ্টিকালীন সময়ের (১ম ইওম বা দিনের) সূচনা ঘটে। (৫১:৪৭) নং আয়াতে সামা- আ
বলতে সম্ভবত এমন এক আকাশকে বোঝান হয়েছে যে আকাশ শুধুমাত্র বলবাহী
মৌল-কণিকা দ্বারা ভরপুর ছিল এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত পার্থক্য না থাকায়
সেই আদি একক আকাশে কোন স্তর-ভেদ ছিল না। ফলে সপ্ত-আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির
আদি পর্যায়ে একক আকাশ রূপে একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল। পরবর্তীতে
মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর অসীম ক্ষমতাবলে সেই একক আকাশকে মহাসমপ্রসারীত করেন
এবং ডাইমেনশন বা মাত্রাগত ছকে সাজিয়ে পৃথিবী ও সপ্ত-আকাশমন্ডলী সৃষ্টি
করেন। আমরা হয়ত সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার ক্ষণটি অর্থাৎ ভরবাহী মৌল কণিকা
গঠনের ক্ষণটিকে সঠিকভাবে খুঁজে পাবার সামর্থ রাখি। কিন্তু মহাবিশ্ব সৃষ্টির
ক্ষেত্রে বস্তুহীনতা বা অনস্তিত্ব বা চরম শুন্যতার একটা পর্যায় ছিল এবং
সেই অসীম শুন্যতায় শুধু অসীম শক্তি বিরাজমান ছিল। এভাবে যে কতটা সময়
অতিবাহিত হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরুপণ করা কখনই সম্ভব নয়। কারন আমাদের জীবন ও
পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা স্থান ও কালের যে মাত্রা বা ডাইমেনশনের বেড়াজালে আবদ্ধ,
সৃষ্টিকালীন আদি বা প্রাথমিক পর্যায়টি ছিল সেই মাত্রা বা ডাইমেনশন বহির্ভূত
ঘটনা। কারণ তখন স্থানের কোন অস্তিত্ব ছিল না। সুতরাং মহাবিশ্ব সৃষ্টির আদি
পর্যায়ের ঘটনাচক্র ও আদি কাল বা সৃষ্টি শুরুর সময় সম্পর্কে আমরা অনুভবের
আলোকে কিছুটা ব্যাখ্যা করতে পারলেও পূংখানুপূংখভাবে বিশ্লেষণ করা সত্যিই
অসম্ভব। উপরের আলোচনা থেকে বুঝে নেয়া যায় যে, সৃষ্টিকে অস্তিত্বে আনার
ইচ্ছা থেকে কোন এক অজ্ঞাত সময়ে সৃষ্টিকালীন ১ম-ইওম বা দিনের সূচনা ঘটে এবং
তখন আল্লাহতায়ালার ইচ্ছায় একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মহাশক্তি অর্থাৎ (২৪:৩৫)
জ্যোতির উপর জ্যোতি সম্ভবত প্রচন্ডতম তাপশক্তি একটি নির্দিষ্ট সময়কাল
ব্যাপী প্রয়োগের ফলে বিভিন্ন পরিবর্তন ও প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আকাশমন্ডলী ও
পৃথিবী সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ বলবাহি মৌল কণিকাগুলো ( গ্লুয়ন,
ফোটন ইত্যাদি ) (২:১১৬) সম্মিলিতভাবে ঘনিভূত ও তরলিত শক্তিরূপে বিরাজ
করছিল। বিজ্ঞানের বর্ণনায় আমরা দেখেছি যে, বলবাহী মৌল কণিকাগুলো অপবর্জন
নীতি (Exclusion principle) মানে না। আর যে কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি মানে না
তারা সবাই চুপসে মোটামুটি একরকম ঘন একটি স্যুপ (Soup = hot, dense plasma)
তৈরী করে। সুতরাং সৃষ্টিকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে কল্পিত বলবাহী মৌল
কণিকাগুলো অপবর্জন নীতি বিবর্জিত অবস্থায় উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত (hot,
dense plasma) শক্তিরূপে একটি নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ ছিল এবং তখন
(১১:৭) সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহতায়ালার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (আরশ) সেই
স্যুপ অর্থাৎ উত্তপ্ত, ঘনিভূত ও তরলিত গন্ডিবদ্ধ শক্তির (পানির) উপর নিবদ্ধ
ছিল।</strong> এভাবে একটি নির্দিষ্ট সময় ( অতি ক্ষুদ্র বা বৃহৎ কাল )
অতিবাহিত হবার ফলে [ দুর্বল কেন্দ্রকীয় বলের (Weak neuclear force) উদ্ভব
হবার পূর্বে ] বলবাহী মৌল কণিকাসমূহের মধ্যে পারস্পরিক অভিক্রিয়া শুরু হয়
এবং ১ম-ইওম বা দিনের সমাপ্তি ঘটে।
No comments:
Post a Comment